কৈফিয়ত আশাবাদ এবং সামান্য ঈদ উপহার
শুনে অবাক হবেন না তো! আমরা এই মাত্র একটি যুদ্ধ শেষ করলাম। তবে তা ধ্বংসের নয় সৃষ্টির যুদ্ধ। অন্তত আমাদের মত প্রায় সাধ্য সামর্থ্যহীন একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একে যুদ্ধ বলা
আদৌ অনুচিত হবে না। যেখানে প্রতিমাসের নিয়মিত আটচল্লিশ
পৃষ্ঠার পত্রিকা পাঠকের হাতে তুলে দিতে হিমসিম খেতে হয় সেখানে একই পরিমাণ সময় ও জনবল
নিয়ে তিন শত পৃষ্ঠার একটি ঈদ সংখ্যা যথা সময়ে পাঠকের হাতে তুলে দেয়ার ইচ্ছা যে অসম্ভব
অবাস্তব আকাঙ্ক্ষার পর্যায়ে এসে দাঁড়ায় সে অনুভূতি আমাদের সক্রিয় ছিলো বলা যায়। জেনে বুঝে একশত ভাগ সতর্কতার সাথে আমরা সামনে পা বাড়ালাম।
আলহামদুলিল্লাহ। কাঙ্ক্ষিত
সকল লেখকের অভাবিতপূর্ব সাড়া পেয়ে আমরা দুঃসাহসী অভিযানে সাফল্য ছিনিয়ে আনার প্রয়াসে
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলাম। মাত্র দু’সপ্তাহের
মধ্যে সব উপকরণ পেয়ে গেলাম। অতঃপর
সাজিয়ে-গুছিয়ে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম।
দুঃখের কথা হচ্ছে, এই আনন্দের
সংবাদটি আমরা রহমত-এর সকল পাঠক শুভানুধ্যায়ীকে সময় সল্পতার কারণে যথাযথ জানাতে পারিনি। গত সংখ্যায় প্রচারিত বিজ্ঞাপনের পরও আমরা সকলের ঠিকানায় চিঠি
পাঠিয়েছিলাম। সংবাদ নিয়ে জানলাম, দশ দিনেও সে চিঠি অনেকের হাতে পৌঁছেনি। আমাদের চিঠিতে লেখা আবেদনটি সত্তরভাগ পাঠকের হস্তগত হয়নি। আপনারা অবশ্যই বলবেন, এই দায় একা আমাদের নয়। আগমী বছর যদি কোন ঈদ সংখ্যা করার তাওফিক হয় তখনকার জন্য যথেষ্ট
সময় সুযোগ ও সুস্থিরতার আবেদন আল্লাহর দরবারে দাখিল করে রাখলাম। একান্ত আল্লাহই সকল সদিচ্ছার মালিক। সাফল্য দানেরও মলিক তিনিই।
তবুও এই ¯^í সময়ের প্রয়াসে সুধী ও পাঠক মহলের লক্ষণীয় আগ্রহ ও সাড়া, সহকর্মীদের একান্ত নিরলস সহযোগিতা, বিজ্ঞাপন দাতাদের অকুণ্ঠচিত্ত হ্যাঁ আমাদেরকে
আপ্লুত করেছে, আবেগ উচ্ছসিত করেছে, আরো ভালো কিছু করার দায় কাঁধে চাপিয়েছে। ভালো কিছুর সাথে বোদ্ধা, সচতেন ও রুচিবানদের বিপুল আগ্রহ ও সাহস
আমাদেরকে প্রচুর আশাবাদি করেছে। যদিও
আমাদের জন্য এ পথটি এখনো কার্পেটমসৃন পর্যায়ে পৌঁছেনি, বিজ্ঞাপন দাতাদের সংখ্যা নিতান্তই অল্প, গল্পকার ও ঔপান্যিসিকের সংখ্যা হাতে গোনা
দু’ চার জন, লেখকের সংখ্যাও হতাশাজনক, পৃষ্ঠপোষকতা অপ্রতিষ্ঠানিক- সে ক্ষেত্রে
মাত্র পঁচিশ দিনে দক্ষিণ বলয়ের খ্যাতিমান সকল ঔপন্যাসিকের ছোট বড় আটটি উপন্যাস m¤^wjZ তিন শত
পৃষ্ঠার একটি ঈদ আয়োজন এখন অবিশ্বাস্য এক বাস্তব। এই ঈদ আয়োজন যদিও সাধুবাদ প্রাপ্তির পর্যায়ে উন্নীত হতে পারেনি, শত দুর্বলতার ঘেরাটোপে বন্দি, অসুন্দরগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে প্রকটরূপে
দৃশ্যমান, তবুও এই সংখ্যাটি অনেক ব্যক্তি
ও প্রতিষ্ঠানের প্রেরণা ও সাহসের উৎস হয়ে থাকবে এই বিশ্বাস একান্তভাবে পোষণ করি। এই নির্ভরতা থেকে দুর্বল এই দুঃসাহসী ঈদ আয়োজনটি আপনাদের
হাতে তুলে দিচ্ছি। ঈদ সকলের জন্য বয়ে আনুক ঈদের
মত অমলীন জীবন। আল্লাহ সকল বিশ্বাসীকে ইহ-পরকালীন
চূড়ান্ত সাফল্য ও কল্যাণ দান করুন।
এই রকম একটি সহসী পদক্ষেপের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি এই ধারা সামনে ও অব্যাহত থাকবে। শত বাধার মুখে ও রহমত ঢেলে যাবে তার রহমতের বারি ধারা। রহমত জেগে থাকবে আমাদের বুকে।
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর হয়েছে ভালো লাগে । আমার মাসিক রহমত লাগবে mohammadharun219@yahoo.com মোবাইল নং দেন
উত্তরমুছুন